জীবনের উদেশ্য খুঁজে বেরাই? পার্ট ২
আপনি কোনো ভুল নন
ভুল করে পৃথিবীতে চলে আসেননি
আপনার মা বাবা হয়তো আপনাকে প্ল্যান করেননি কিন্তু আপনার স্রষ্টা ঠিকই প্ল্যান করে রেখেছিলেন অনেক অনেক আগে
আপনার মা আপনাকে ধারণ করার বহু আগেই তিনি আপনাকে ধারণ করে রেখেছিলেন।
ইনফেকট
আপনার বর্ণ, গোত্র, চুলের কালার, আপনার ন্যাচারাল ট্যালেন্ট, এমনকি আঙ্গুলের প্রিন্ট পর্যন্ত আগে থেকে প্লেন করা।
যেহেতু তিনি আপনাকে একটি উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তাঁর মানে তিনি এটাও প্লেন করে রেখেছেন যেঁ আপনি কবে কোথায় কখন কোন পরিস্থিতিতে কোন পরিবারে জন্ম নিবেন!
অর্থাৎ কার কার জেনেটিক কম্বিনেশন আপনি কেরি করবেন এবং সেই অনুসারে আপনার বাবা মাকেও তিনি ব্যাক ক্যাল্কুলেশনের মাধ্যমে জর করেছিলেন
কোন কিছুই তিনি চান্সের হাতে ছেঁড়ে দেন নি, প্রতিটি জিনিসই প্লেন মাফিক হচ্ছে
এই মুহূর্তে আপনি ভাগ্যের জোরে বা কপাল গুনে শ্বাস নিছছেন না, নিতে পারছেন কারণ পৃথিবীতে আপনার প্রয়োজনীয়তা এখনো ফুরিয়ে যায় নি
এই গোটা ইউনিভার্স সৃষ্টির কারনও কিন্তু আপনি, অর্থাৎ মানুবকুল
তাই কথা হচ্ছে উনি এতো কিছু করার পেইন কেন নিতে গেলেন?
জাস্ট মজার বা খেলার ছোলে?
উত্তর তিনিই জানিয়ে দিয়েছেন
“না! তিনি এসব খেলার ছলে বানাননি” [৪৪:৩৮]
তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন একটা স্পেসিফিক কারনে আর তা হোল
“উনাকে সার্ভ করার জন্য” [কুরআন ৫১:৫৬]
এবং
তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন যেন
“তিনি দেখতে পান আমরা কে কে এই সার্ভিস ডেলিভারিতে একে উপর কে ছাড়িয়ে যেতে পারি” [কুরআন ৬৭:২]
অর্থাৎ আপনাকে এমন ভাবে সার্ভিস ডেলিভারি দিতে হবে যাতে আপনি বেস্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হতে পারেন এবং আপনার সার্ভিস পেয়ে আসে-পাশের সবাই যেন উপকৃত হন
তাহলেই পাবে সার্থকতা
তবে, এর মানে এই নয় যে, এখনই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে বৈরাগীর জীবন ধরতে হবে
কারণ স্রষ্টা নিজেই বলেছেন
তিনি পৃথিবীকে সাজিয়েছেন যেন আমারা একে এনজয় করতে পারি [কুরআন ৭:১০]
তাঁর মানে আবার এও নয় যে
জীবনটা শুধু ফুরতিময় হয়ে থাকবে।
অর্থাৎ আমাদের জীবনের নেক্সট গোলই হলো নেক্সট মার্ভেল মুভি অথবা নেক্সট প্রমোশন অথবা নেক্সট ওয়ার্ল্ড টুঁর
ব্যালান্স থাকতে হবে
হ্যা আপনার এই ছোট ছোট গোল গুলো বড় একটা প্রোজেক্ট এর ছোট ছোট মাইলস্টোন এর মত
বড় সেই প্রজেক্টটি হোল “প্রোজেক্ট জান্নাহ”
স্রষ্টা জানিয়েছেন, জান্নাহ হচ্ছে “ওসাম” অর্থাৎ অসাধারণ , যদি তিনি “অসাম” বলে থাকেন তাহলে একটু কল্পনা করুন সেটা কত “ওসাম”
তিনি আমাদের ভালোবাসেন [৮৫:১৪] তাইতো তিনি চান আমরা যেন এই “ওসাম” জায়গাটিতে চির জীবনের জন্য যেতে পারি, এঞ্জয় করতে পারি।
তিনি আমাদের কতটা ভালোবাসেন সেটা সেন্স করার কল্পনা শক্তি আমাদের নেই
তারপরেও ছোট্ট একটি উদহারণ দেই:
একবার এক মা তার সন্তানকে হন্য হয়ে খুজচ্ছিলেন, অনেকক্ষণ পর যখন খুজে পেলেন তখন তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আগলে রাখলেন,
দূর থেকে রাসূলুল্লাহ বলে উঠলেন,
তোমাদের কি মনে হয় এই মা তার এই শিশুকে কোনদিন আগুনে ছুড়ে ফেলতে পারে?
না রাসূলুল্লাহ!
তখন তিনি বললেন,
আমাদের স্রষ্টা আমাদেরকে ওই মায়ের থেকেও অনেক অনেক বেশি ভালোবাসেন [বুখারি ৫৯৯৯]
ইফেক্ট তিনি তো মাত্র ১% ভালোবাসা সমগ্র মানব, জীন ও পশুপাখির মদ্ধে ডিস্ট্রিবিউটে করে রেখেছেন আর এতেই আমাদের ভালোবাসা একে ওপরের জন্য উতলিয়ে পরে!
বাকি ৯৯% ভালোবাসা তো তিনি তার কাছে জমা রেখে দিয়েছেন যেন বিচার দিবসে তিনি তা দিয়ে আমাদের স্বাগত জানাতে পারেন [বুখারি ৬০০০]
তাই বলছি আমাদের লাইফের আসল গোল হোল “প্রোজেক্ট জান্নাহ”
সেটা এচিভ করতে হলে এনাফ “সার্ভিস পয়েন্ট” অরজন করুন
প্রোজেক্ট এচিভ হলে যেখানে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াব, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, পার্টি দিবেন
আর তিনি তখন পরম মমতা নিয়ে আমাদের বাচ্চামি দেখে মুচকি হাসবেন যেমনটা হেসেছিলেন আমাদের মা আমাদের প্রথম হাঁটা দেখে!
Leave a Comment