মকবুল রামাদান

মকবুল হজ তো জানি, তাহলে মকবুল রামাদানটা আবার কি?
মকবুল হজের শর্তঃ
অশ্লীলতা ঝগড়া আর অহংকার করা যাবে না!
যদি করা হয়
তাহলে আরাফাতের মত ময়দানে, যেখানে আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করতে থাকবেন, সেখানেও ক্ষমা জুটবে না!
তাই প্রশ্ন, মকবুল রমাদানের শর্ত?
জিব্রাইল আমিনের ওই বক্তব্যটা মনে আছে তো না?
‘ধ্বংস সে, যে রামাদান পেলো অথচ নিজেদের গুনাগহ মাফ করতে পারলো না”
কে বলছেন?
সেই জিব্রাইল! যিনি ফিরাউনের মুখ চেপে ধরেছিলেন এই আশংকায় যে,
আল্লাহর কাছে যেন ক্ষমা না চাইতে পারে, কারন, চাইলে আল্লাহ তাঁকেও ক্ষমা করতে পারে!
“আমি সেই হতভাবে হতে চাই না”
তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে
মকবুল হজ তো বুঝলাম, মকবুল রমাদান টা আবার কি!
একাধিক তারাবি? একাধিক কোরান খতম?
নোপ্!
মকবুল রমাদান বুঝার জন্য দরকার “এন্টি মকবুল রমাদান” বা “রিজেক্টেড রমাদান” এর কনসপেট।
রাসূলুল্লাহ জানিয়েছেন [বুখারী ৬০৫৭]
“তোমরা যদি “কাওলাজ জুর”, খারাপ কাজ ও বাজে কথা বলে থাকো, তাহলে তোমাদের রোজা রিজেক্টেড”
“কাওলাজ জুর” কি?
এই “কাওলাজ জুর” একটা একটা স্পেকট্রাম
এটা দিয়ে মিথ্যা কথা, খোঁচামারা, পিছনে কথা, কষ্ট দিয়ে কথা এ সবই বুঝায়
অর্থাৎ আপনার হার্মফুল এবং এবিউসিভ স্পিচ হলো “কাওলাজ জুর”
বাই দা ওয়ে,
এবিউসিভ স্পিচ কিন্তু শুধু অনসাইটে না, অনলাইনকেও বুঝায়!
কাউকে এবুসিভ কমেন্ট করছেন,
এবুসিভ পোস্ট দিচ্ছেন বা
এবুসিভ রিপ্লাই দিচ্ছেন
ওর ইভেন ছোট দেখানোর জন্য একটা হাহা রিএক্ট দিচ্ছেন
এসবই কিন্তু “কাওলাজ জুর”!
অর্থাৎ অন্যকে নিচু দেখানোর এক্সপ্রেসসটাই হলো “কাওলাজ জুর”
তিনি আরো বলছেন
এটা যদি করো তাহলে
এই “অনাহার” আল্লাহর কাছে কিছুই যায় আসে না!
বাই দা ওয়ে
কদর কেন খুঁজে বেড়াচ্ছি জানেন?
কেন তিনি আমাদের কে একটা পার্টিকুলার দিন দিয়ে দিলেন না?
কেন এই পিরিচুয়াল কোয়েস্ট?
কারণ সিম্পল
“দুই জন অজ্ঞাত নামা লোক ঝগড়া করছিলেন”
এই জন্য!
তিনি বিরক্ত হয়ে এই বরকতময় রাতের স্পিসিফিক ডেটের খোঁজ উঠিয়ে নিয়েছিলেন!
আজকে যারা আমরা রমাদানের শেষ প্রান্তে মকবুল রমাদান বা মকবুল কদরের জন্য অস্থির
প্রত্যেকের প্রতি তাই আজ জাস্ট একটা রিকোয়েস্ট
“কাওলাজ জুর” ছেড়ে দেন!
ইনশাল্লাহ মকবুল কদর এবং মকবুল রামাদান পেয়ে যাবেন!
Share: