শিক্ষা ব্যবস্থায় আমি কি পরিবর্তন আনতে চাই?

ব্রিটিশরা যেখানেই পা রেখেছিলো
সেখাণে তারা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন এনেছিল
তাদের ইন্ডাস্ট্রিকে সার্ভ করার জন্য
তাদের দরকার হলো শিক্ষিত দাস প্রডিউস করা
তাই তারা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে কম্পার্টমেন্টালাইজ করে ফেললো
যেমন
যে বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে, সে ধর্ম পর্বে না
যে ধর্ম নিয়ে পড়বে, সে বিজ্ঞান পর্বে না
যে মেডিকেল ফিল্ডে পড়বে, সে ইঞ্জিনিয়ারিং পর্বে না
আবার যে ইঞ্জিনিয়ারিং ,পড়বে সে মেডিক্যাল পর্বে না
শুধু তাই না,
তারা আরো একটা স্ট্রেটেজিক কাজ করলো
প্রেক্টিকাল নলেজ সরিয়ে ইম্প্রেক্টিকেল নলেজ ঠেসে দিলো
এতে যা হলো
মানুষের কিউরিওসিটি বন্ধ হয়ে গেলো
এবং জ্ঞানের টোটালিটি লস্ট হয়ে গেলো
মানুষ শুধু তাতেই কিউরিয়াস থাকলো যা তাদের অবজেকটিভ কে সার্ভ করে
খেয়াল করে দেখেন
১৭০০ শতাব্দী পর্যন্ত নিউটন, দা ভেঞ্চির মত মাল্টিটাস্কিং ইনভেন্টর প্রডিউস হয়েছিল
অথবা একটু খেয়াল করে দেখেন মুসলিম সাইন্টিস্টদের
তাড়াও কিন্তু মাল্টিপল সাবজেক্টে ব্রেকথ্রো করেছিলেন
দেখা গিয়েছে
যিনি মেডিক্যাল সাসিন্স ব্র্যাক এনেছেন
তিনিই আবার ফিজিক্সের কোনো একটা ডিভাইস বানিয়ে বসে আছেন
তিনিই হয়তো ফিলফির একটা বই লিখে বসে আছেন
আবার তিনিই ডেজলিং কোনো মসজিদের আর্কিটেকচার করে বসে আছেন
কখনো কি ভেবেছেন তাজমহল কারা বানিয়েছিলো?
অক্সফোর্ডের কোনো আর্কিটেক?
নোপ্, করেছিল আসে পাশের কোনো এক মাদ্রাসার স্টুডেন্টই
অর্থাৎ ইসলামিক গোল্ডেন ইরার সাইন্টিস্টদের যদি দেখেন
তারা জ্ঞানের টোটালিটি বুঝতে পেরেছিলেন
আর এখন?
এখন স্কাইন্স নিজেই একটা বিলিভ সিস্টেম!
ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া লিগেসি আমরা এখনো আঁকড়ে ধরে বসে আছি
যেমন
যে ধর্মীয় দিকে যাবে সে আর অন্য কাছে আসতেই পারবে না
যে জেনারেল লাইনে যাবে তার আর ধর্মীয় জ্ঞান নেয়া হয় না
শুধু কি তাই
জেনারেল লাইনের ভিতরেও
৮ কি ৯ উঠতে না উঠতেই একটা স্টুডেন্টকে ডিসিশন নিতে হয়ে
সে কি আর্টসে যাবে না কমার্সে যাবে না সাসিয়েন্স
অর্থাৎ যেই ছেলেটা সাহিত্য ভালোবাসে সে সাইন্সকে কে ভালোবাসতে পারবে না!
আর মেডিকেলের কথা কি বা বলবো
ডিভিশন আর ডিভিশন
খোদ দাঁতের ডাক্তাররাই লজ্জায় থাকে তাদের এমবিবিএস বন্ধুদের কাছ থেকে
পুরো ইন্ডাস্ট্রিটাই কমিশন বেসড
হাজার বছরের ইউনানী বা আয়োর্বেদিয়াকের যেন কোনো হিস্সাই না
আর হোমপেথি তো শুধু যেন চর্ম ও ওটাতেই সীমাবোধ্য!
এতো গেলো একাডেমিকের কথা,
প্রেক্টিকাল?
৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পরে বাল্ব লাগাতে ডাকতে হয় ইলেক্ট্রেসিয়ান মামাকে
৪ বছর সি এস সি পরে পিসি বুট করতে নিয়ে যেতে হয় আইডিবিতে
আর বেসিক স্কিলের কথা আর নাহয় বাদই দিলাম
বেসিন নষ্ট হয়ে গেলে প্লাম্বার মামাকে
চুলার নব ঘুরাতে গেসের মিস্ত্রিকে
বাবু দরজা আটকিয়ে ফেললে তালা মিস্ত্রিকে
অথবা সামান্য সার্কিট ব্রেকার পরে গেলে ইলেক্ট্রিসিয়ান মামাকে
পেন্ট ফাইসা গেলে টেইলর
এমনকি নরমাল একটা বেগুন গাছ লাগাতে ডাকতে হয় মালি কাকাকে
কেন?
কেন এই বেসিক লাইফ স্কিল শিখানো হচ্ছে না বাচ্চাদের?
বলছিনা দেশে স্পেশালিস্ট এর দরকার নেই
অবস্যই আছে
তবে তা শুধু ক্রিটিকাল প্রব্লেম সলভিং বা বিগ প্রজেক্ট গুলোর জন্য
সামান্য এক্সেল খুলার জন্য সি এস সি ডাকা দরকার নাই
আমার মোতে প্রেক্টিক্যাল জ্ঞানে সব থেকে এগিয়ে আছে ডিপ্লোমারা এবং যুব উন্নয়ন থেকে পাশ করা স্টুডেন্ট গুলো
সেখানে আবার দিয়ে রেখেছে আরেক বাধা
প্রপার রিকগনিশনই নেই
ভালো কোনো কর্পোরেট তারা চাকরি পায় না!
পেতে হলে নতুন করে বেচেলর করতে হয়.
কোনো মানে হয়?
পুরো সিস্টেমে একটা চেঞ্জ আনা দরকার
আমার একটা ভিষণ আছে
যদি সুযোগ পাই শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূলে পরিবর্তন আনব
এমন একটা স্টার্কচার দাঁড় করবো
সেখানে স্টুডেন্টরা বের হবে
একই সাথে লাইফ স্কিল টেকনিক্যাল স্কিল ও রিলিজিয়াস স্কিল নিয়ে
সেখানে
ইন্টারমিডিয়েট লেভেল নাম কিছু থাকবে না
১ থেকে ১০ শ্রেণী থাকবে
তারপর ১১-১২ হবে ডিপ্লোমা
অতঃপর ১৩-১৪ হবে বেচেলর
এবং ১৫-১৬ হবে মাস্টার্স
পরবর্তীতে ১৭-১৮ তে আরো কন্সান্ট্রেটেড স্টাডিস
একজন স্টুডেন্ট যদি ক্লাস ১ এ ৭ বছর বয়সে ভর্তি হয়
তাহলে ১৮ হতে হতেই ডিপ্লোমা করে সে কর্ম দক্ষ হয়ে যাবে
জবের পাশাপাশি চাইলে দু বছর কাজ করে সে বেচেলার শেষ করতে পারবে
কেউ কোনো ফিল্ডে স্পেশালিস্ট হতে চায় তাহলেই
শুধু মাস্টার্স লেভেল এ যাবে
তবে শর্ত হবে
অবস্যই রেলিভেন্ট ফিল্ডে দুই বছরে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন, এডেক্সসেল, কেমবৃজ, আলেয়া কিংবা কওমি কোন মিডিয়াম থাকবে না
থাকবে শুধু একটা মিডিয়াম
সবখানে সেম কারিকুলাম
প্রতিটা শ্রেণীতে এথিক্স, মোরাল এন্ড কমনসেন্স নামক একটা মেন্ডেটরি সাবজেক্ট থাকবে
লাইফ স্কিল এবং সারভাইভাল স্কিল ক্লাস থাকবে
মুসলিমদের এরাবিক রিডিং রাইটিং এন্ড স্পিকিং মাস্ট ফ্লুয়েন্সি থাকতে হবে
ক্রিস্টিয়াদের এড়ামিক এবং ল্যাটিনে পারদর্শী হতে হবে
হিন্দুদের সংস্কৃতে ফ্লুয়েন্ট করে গোড়া তুলে হবে
মুসলিমরা কোরান হাদিস এন্ড সাইন্স নিয়ে গবেষণা করবে
হিন্দুরা ভেদ উপনিষদ এন্ড সাইন্স নিয়ে গবেষণা করবে
ক্রিষ্টানরা বাইবেল ও সাইন্স নিয়ে গবেষণা করবে
সবাই তাদের ফাইন্ডিংস রিলিজিওন এন্ড স্কাইন্স ফেয়ারে এক্সিবিট করবে
শুধু তাই না
প্রতিটা সাবজেক্ট লেভেল ওয়াইস থাকবে
যেমন
অংক ১০১, ১০২, ১০৩ ১০৪
বিজ্ঞান ১০১, ১০২, ১০৩ ১০৪
আরবি ১০১, ১০২, ১০৩ ১০৪
ইসলাম ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৪, ১০৫
হিন্দুইজম ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৪, ১০৫
যেন যে কেউ চাইলে যেকোনো লেভেল থেকে ঝালিয়ে নিতে পারে
তবে এর মধ্যে কিছু মেন্ডেটরি বিষয় থাকবে
যেমন দশম শ্রেণীর আগেই
প্রত্যেককে মিনিমাম ৫টা ইন্টারনেশনাল লেঙ্গুয়েজে
৫ টা লাইফ স্কিল শিখা কমপ্লিট করতে হবে
প্রতিটা স্কুলে মাল্টিমিডিয়া থাকবে
দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে টিচাররা অনলাইনে পড়াবে
আর শিক্ষকরা হবে দেশের সব থেকে মর্যাদাবান সিটিজেন
অধ্যাপনা হবে হাইসেট পেইড প্রফেশন
যেখানে শুধুমাত্র হাইয়েস্ট স্কিলড নলেজেবল আর এথিকাল পার্সোনালিটিরাই সুযোগ পাবে
এই ভীষণ যদি আমরা এস্টাব্লিশ করতে পারি
তাহলে কি হবে জানেন?
জ্ঞানের টোটালিটি এচিভড হবে
আবার ইনোভেশন স্টার্ট হবে
তখন দেখা যাবে
একজন প্রফেশনাল একই সাথে
একজন সাইকোলজিস্ট,
একজন সাইন্টিস্ট
একজন ডক্টর
একজন ইউনানী স্পেশালিস্ট আবার
একজন ইসলামিক স্পিরিচুয়ালিস্ট হয়ে উঠেছে
উনার কাছে কোনো পেশেন্ট হার্টের সমস্যা নিয়ে আসলে প্রেস্ক্রাইব করবে
আপনার চর্বি খাওয়া কমাতে হবে
যদি খানও পরিমিত খাবেন
বিসমিল্লাহ বলে খাবেন
কারণ এতে খাবার এ ক্ষতিকারক দিক চলে যায়
যখন খাবেন ১০ বারের বেশি চিবিয়ে খাবেন
এতে আপনার ভালো বেক্টেৰিয়া গুলো ইসিসলি হজম করতে পারবে এবং
স্পিয়ার টাইমে তারা আপনার ইমুন বুস্ট করে দিবে
সয়াবিন খাবে না,
নেচারাল সরিষার তেল খাবেন
ইশার পর পর ঘুমিয়ে পড়বেন
কারণ রাত ১০ থেকে ২ তার মদ্ধে আপনার ইমিউন সিস্টেম সবথেকে একটিভ থাকে
ফজরে উঠে হেটে হেটে মসজিদে যাবেন
জামাতে গিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে আড্ডা দিবেন মন ভালো থাকবে
আত্মীয় স্বজনদের সাথে প্রতি সপ্তাহে দেখা করবেন
এতেও আপনার হার্ট ভালো থাকবে!
খাওয়া কন্ট্রোলের পাশাপাশি গুনাহ সমূহ কন্ট্রোল করবেন
যেমন পর্নোগ্রাফি, পরনিন্দা ইত্যাদি
কারণ এগুলোতেও আপনার হার্টে উপর প্রভাব পড়ছে!
এখন ইমপ্লিমেন্ট করতে দিলেই হয়…..
Share: