মা মারিয়াম কেন খুশি ছিলেন না?
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তটি মনে হয় প্রতিটা মায়ের কাছেই পৃথিবীর শ্রেষ্টতম মুহূর্ত
তবে শ্রেষ্টতম এই মুহূর্তটি মরিয়ম আ কে স্পর্শ করতে পারছিলো না
যখন তিনি প্রসব বেদনায় কাতর
তখনও তিনি ব্যথা ছেড়ে ভয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন
“হায়! আমার যদি মৃত্য হয়ে যেত আজ!
হায়! মানুষ যদি আমায় ভুলে যেত আজ!” [১]
অর্থাৎ
বিনা পিতার এক নবজাত নিয়ে সমাজে মুখ দেখতে হবে
এই পাহাড় পরিমান চিন্তায়, তিনি ছিলেন প্রায় অর্ধ মৃত!
কোরান বোধহয় এই হিউমেন ইমোশনটাই ক্যাপচার করে রেখেছে
এ যেন আমাদেরকেই মনে করিয়ে দেয়া
মাঝে মাঝে জীবনে এমন সিচুয়েশনও আসতে পারে
যখন মনে হতে পারে
“হায়! আমি যদি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারতাম!”
“হায়! আমি যদি এই মুহূর্তে মরেই যেতে পারতাম!”
ইমোশনটা যেন ইউনিভার্সাল
ইন্টারেস্টিং লাগে এই ভেবে যে
ঠিক ওই মুহূর্তে স্বর্গীয় কি ইন্সট্রাকশন এসেছিল তাঁকে শান্ত করার জন্য
ইন্সট্রাকশন এসেছিল:
“চিন্তা করো না”
“খেজুর গাছের ডালটি নাড়াও”
“এতে পাকা টসটসে খেজুর পরবে”
“আর তোমার পায়ের কাছে চেয়ে দেখো, তোমার রব তোমার জন্য একটি নহরও তৈরি করে দিয়েছেন” [২]
ইন্টারেস্টিং কেন বললাম?
কারণ প্রথম বার পড়লে, ইন্সট্রাকশনটি একটু আউট অফ প্লেস মনে হয়
মনে হয়
“এদিকে চিন্তায় উনার জীবন যায়
আর উনাকে বলে কিনা খেজুর খেতে আর নদী নালা দেখতে!”
তবে সাইকোলোজিকালি স্পিকিং
ইন্সট্রাকশনটির ডেপ্থ অন্য লেভেলের
এখানে আসলে বলা হচ্ছে
“ডোন্ট ওরি”
“ছোট ছোট অ্যাকশনে মনোযোগ দাও”
“কিছু খেতে থাকো”
“এবং তোমার রবের নিয়ামত গুলো দিকে খেয়াল করো”
“ভয়ে পেরালাসিড হয়ে যেও না”
“দেখবে সাময়িক ট্রমা দূর হয়ে গিয়েছে”
“কারণ সাহায্য তো আসবেই”
“জাস্ট পেনিক করো না”
বাই দা ওয়ে
আমরা যখন কিছু চাবাতে থাকি তখন কিন্তু আমরা সেফ ফিল করে থাকি
আমাদের ব্রেইন তখন একটা সিগন্যাল পাঠাতে থাকে
যেটা আমাদের ওরিনেস কমিয়ে দেয়
এই জন্যই দেখবেন অনেকেই স্ট্রেস ইটিং করি
আবার খুব সম্ভবত এই জন্যই
এথলেটিকরাও খেলার মধ্যে কন্সটেন্টলি চুইংগাম চাবাতে থাকে
আবার আমরা যখন মাইন্ডফুলি আসে পাশে অবসার্ভ করতে থাকি
তখনো কিন্তু আমাদের ওয়ারিং থটস গুলো গায়েব হয়ে যায়
সো আমরা আর স্ট্রেসড ফিল করি না
আর লাস্টলি
আমরা যখন আমাদের নিয়ামত গুলো খেয়াল করি এবং গ্রেটিচুড প্র্যাকটিস করি
তখন ইন্টার্নালি একটা অদ্ভুত কেমিক্যাল ট্রেসেক্শন হতে থাকে
যার কারণে আমরা প্রশান্তি ফিল করে থাকি
এবং এই ইন্সট্রাকশনগুলোই কিন্তু মরিয়ম আ দেয়া হয়েছিল
সো ইন্সট্রাকশনগুলো আসলেই এফেকটিভ ছিল
এবং ইতিহাস সাক্ষ্য যে
ইন্সট্রাকশন ফলো করে তিনি ট্রমা থেকে বেরও হয়েছিলেন এবং সাহায্যও এসেছিল!
যেই দুশ্চিন্তায় তিনি অর্ধ মৃত ছিলেন
সেই চিন্তার এমন একটা এবসার্ড সলিউশন এসেছিল
যা তিনি কল্পনা করেনি কখনো
তারই দুধের বাচ্চা তারই কোল থেকে
বড়দের মত কথা বলা স্টার্ট করে দিয়েছিল
এবং তাঁকে বেইজ্জতির হাত থেকে বাঁচিয়েছিল!
ইতিহাসের পূর্বেও এ ঘটনা ঘটেনি
ভবিষ্যতেও ঘটবে বলে আমার মনে হয় না
ঈসা আ এর অনেক বড় বড় মিরাকলের কথাই আমরা বলে থাকি
তবে বেবি অবস্থায় কথা বলার মিরাকলটি
কেন যেন প্রায় সময়ই ওভার লুকড হয়ে যায়!
একটা কয়েক দিনের বেবি বাচ্চা কথা বলছে!
ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেছেন কখনো বিষয়টি?
আরেকটি ইন্টারেস্টিং বিষয় বলে শেষ করি:
খেয়াল করেছেন কি?
পৃথিবীর কাছে মরিয়াম আ এর পরিচয় হলো তাঁর ছেলের পরিচয়ে
অর্থাৎ “মাদার অফ জেসাস” বা যীশুর মা হিসেবে
কোরানে কিন্তু ঠিক উলটো
এখানে ছেলেকে উল্টো পরিচয় করানো হয়েছে মায়ের নামে
“ঈসা ইবনে মারিয়াম” অর্থাৎ
মরিয়ম এর ছেলে- ঈসা (আ) হিসেবে!
এখন শুধু একটাই চাওয়া
যে যেখানেই যেই প্রব্লেমেই আছেন না কেন এই মুহূর্ত
মারিয়াম আ কে দেয়া লাইফ লেসনটি
আপনাকে ভয়ে পেরালসাইজড হওয়া থকে রক্ষা করুক
এবং সেই প্রব্লেমকে নেভিগেট করে
একটা ভায়াবল সলিউশনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহস সঞ্চার করুক!
Leave a Comment