পাগলা কিসিমের আবেদ

বাইতুল্লাহ গেলে কিছু পাগলা কিসিমের আবেদের দেখা মিলে
আফ্রিকা থেকে আগত তারা
দেখা যায় যে
পর্বতসম দেহ আর শিশুর নেয় মন নিয়ে
কাবার সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছে
জোরে জোরে কমপ্লেইন করছে
কখনো কথা বলে যাচ্ছে
কখনো আবার লিস্ট ধরে আঙ্গুল টিপে টিপে
এটা চাচ্ছে ওটা চাচ্ছে
মানে হুলুস্হুল একটা অবস্থা!
যেন সে আল্লাহকে একদম সামনা সামনিই পেয়ে গিয়েছে
সবাই এ চাওটায় অভ্যস্ত না
তাই পাশ দিয়ে চলা কালীন হাজিরা
কেউ কেউ বিরক্ত হন
কেউ কেউ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন
কেউ বা মুচকি হেসে তাওয়াফ করেন
আর কেউ বা ভাবেন
ইশ!
আমিও যদি এমন ভাবে চাইতে পারতাম!
আসলে দুয়াটা এমন ভাবেই চাওয়া উচিৎ
যেন আল্লাহকে একদম সামনা সামনি পেয়ে গিয়েছেন
কারণ হাদিস শরীফে এসেছে
আদ দুয়া মুখ্যাল ইবাদা
অর্থাৎ
ইবাদাহর মূলই হচ্ছে দুয়া
অথচ আমরা এই ইবাদাহর মূল অংশটাই একটা পার্টিকুলার সময়ে একটা পার্টিকুলার রেওয়াজে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি
দুয়া একটা কনভারসেশন
রাসূল নামাজরত অবস্থায় তো করেছেনই
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে দুয়া দিয়ে দিন শুরু করেছেন
তারপর?
ঘোড়ায় উঠতে উঠতে দুয়া করেছেন
ঘোড়া থেকে নামতে নামতে দুয়া করেছেন
খাবারের আগে দুয়া করেছেন
খাবারের পরে দুয়া করেছেন
মসজিদে ঢুকার সময় দুয়া করেছেন
মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দুয়া করেছেন
যুদ্ধ করতে করতে দুয়া করেছেন
যুদ্ধের ময়দানে ব্রেইক নিয়ে দুয়া করেছেন
বাথরুমের যাওয়ার আগে দুয়া করেছেন
এমনকি বাথরুম থেকে বের হয়েও দুয়া করেছেন
আর দিন শেষে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে তো করেছেনই
একটু ঠান্ডা মাথায় যদি উনার দুয়ার কথা গুলো এনালাইজ করেন
দেখবেন যে
দুয়া গুলো কোনো মুখস্থ মন্ত্র ছিল না
ছিল স্রষ্টার সাথে কনভারসেশন
যেমন
মসজিদে ঢুকার সময় বলেছেন
হে আল্লাহ আপনি আপনার রহমতের দরজা গুলো খুলে দিন প্লিস
বের হতে হতে বলছেন
হে আল্লাহ আপনার ফদল থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দিন প্লিস
খেতে খেতে বলছেন
হে আল্লাহ আপনার নামে শুরু করলাম এখন এই খাওয়ায় বারাকাহ দিয়ে দিন প্লিস!
অর্থাৎ কন্টিনিয়াস কনভারসেশন চালিয়েছেন
যেদিন আপনিও এই কনভার্সেশনে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন
দেখতে পাবেন যে
এক মুহূর্তও আর একা লাগছে না!
তাই সম্ভব হলে
এই মাসনুন দুয়া গুলো শিখে নিন
শিখতে না পারলে এটলিস্ট সেগুলোর অর্থ গুলো জেনে নিন
যেন বিভিন্ন ইভেন্টে এপ্পলাই করতে পারেন
কারণ অনেক সময় রবের কাছে
কখন কি চাইতে হবে সেটাই আমরা ঠিক ভাবে বুঝি না
আমরা ভাগ্যবান যে
রাসূলের এই দৈনন্দিন চাওয়া গুলো
আমাদের কাছে নির্ভেজাল ভাবে রেকর্ডেড আছে
আর পাশাপাশি নিজস্ব চাওয়া গুলোতো আছেই
সর্ব অবস্থায় চাইতে থাকেন
মুখস্ত চাওয়া না
আবেগ ঘন চাওয়া
আর মনে রাখবেন
কনভারসেশন কখনো এক তরফা হয় না
রবের সাথে তো আরো না
আমরা যখন তাঁর সাথে কথা বলি
উত্তরে তিনিও কন্সটেন্টলি আমাদের সাথে কথা বলতে থাকেন
বিষয়টা তিনি নিজেই কনফার্ম করেছেন
“নিশ্চয়ই আমি আমার বান্দার কাছেই আছি!
যখনই কেউ আমাকে আহবান করে দুয়া করে
আমি সাথে সাথে তার আহবানে সাড়া দেই!”
এই এক্সপেরিয়েন্স টা যে কতটা সেটিস্ফায়িং
তা এক্সপেরিয়েন্স না করা পর্যন্ত বুঝানো যাবে না!
আজই কনভারসেশন স্টার্ট করে দিন
ইনশাল্লাহ পেরেশানী গুলো দূর হয়ে যাবে!
ইনশাল্লাহ একাকিত্ব গুলো দূর হয়ে যাবে!
আর তার থেকেও বড় কথা
সারা বিশ্বের সব থেকে ক্ষমতাধর সত্তাকে
আপনি সাথী হিসেবে কাছে পেয়ে যাবেন!
Share: