সূরা মূলক কি ভাবে আমাদের প্রটেক্ট করবে?

প্রচলিত আমল
রেগুলার রাতে মূলক পড়তে হবে
পড়লে কবরে প্রটেক্টেড অবস্থায় থাকতে পারব
তবে প্রশ্ন জাগে
যেই সূরাতে কবর শব্দটাই নেই
সেই সূরা কিভাবে আমাদের কবরের প্রটেক্ট করবে?
বুঝার জন্য
অর্থ সহ মূলক পড়া শুরু করলাম
আস্তে আসতে দুটো কনসেপ্ট ইমারজড হলো
কনসেপ্ট দুটো হলো “মৃত্যু” এবং “গায়েব”
মৃত্যু তো বুঝি তবে
“গায়েব” এর কন্সেপ্ট টা কি?
বুঝার জন্য বলছি
নামাজে যে আমরা দু কাঁধে সালাম দেই
কেন দেই জানেন?
দেই হচ্ছে কাঁধের দুই ফেরেস্তা কে
দেই হচ্ছে
নিজেকে রিমাইন্ডার দেয়ার জন্য যে
আমরা যা করছি
দুজন অন্তত দেখছেন এবং
শুধু দেখছেনই না
উনারা নোটও নিচ্ছেন [কোরান ৮২:১০-১১]
এই যে দুই সত্তা সারাটা জীবন নিরলস ভাবে কন্সটেন্টলি লিখে যাচ্ছেন
কই? জীবনেও তো তাদের দেখলাম না?
দেখা তো দূরে থাক
তাদের প্রেসেন্সও তো কখনো ফিল করলাম না
কেন করলে না?
কারণ তারা এমন একটা ডাইমেনশনে পেরালেলি এক্সিস্ট করছেন
যার ভিসিবিলিটি আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ার কেপাসিটিতে নেই?
বিষয়টা শুধু ফেরেস্তাদের জন্যই প্রযোজ্য নয়
জিনদের বিষয়েও একই কন্সেপ্ট প্রযোজ্য
“তারা আমাদের এমন এক জায়গা (ডাইমেনশন) থেকে দেখতে পায়
যা আমরা দেখতে পাই না [কোরান ৭:২৭]
এই যে ইনভিজিবল রিয়ালিটি
যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না
এই ইউনিভার্সাটাই হচ্ছে “গায়েব”
যা আমাদের ঈমানের একটা অংশ
আর এই না দেখে গায়েবের উপর বিস্বাস রাখাটা হলো
একটা পরীক্ষা
এই পরীক্ষা সেই দিন শেষ হবে
যেই দিন মৃত্যু এসে আমাদের আলিঙ্গন করবে।
সেই দিন থেকে
আমরা এই পেরালেল ইউনিভার্সেকে একসেস করতে পারবো
যা এতো দিন পারিনি
বলতে পারেন
মৃত্যু হলো সেই ইউনিভার্সে যাওয়ার ব্রিজ বা গেটওয়ে
এই ইউনিভার্সে আমার ইন্দ্রিয় গুলোর স্পেকট্রাম আরো এমপ্লিফাইড থাকবে
আমাদের দেখার ক্যাপাসিটি বেড়ে যাবে
আমাদের শুনার ক্যাপাসিটি বেড়ে যাবে
আমরা সেই সব জিনিস দেখবো বা শুনবো যা এতদিন আমরা ফিজিক্যাল ডাইমেনশনে ফিল করতাম না
অদৃশ্য এই ইউনিভার্সটাকে বারযাখ বলে
বারযাখ হলো সেই টেম্পোরারি জায়গা
যেখানে আমরা আমাদের পার্মানেন্ট রিয়ালিটির একটা টেম্পোরারিটি টেস্ট পেতে যাচ্ছি
তবে এই লিমিটেশনটা কেবল ইনসান এবং জীনদের এর উপরই বর্তায়
অর্থাৎ দু জাতির জন্য এই গায়েবের পরীক্ষা প্রযোজ্য
কারণ হাদিস শরীফে এসেছে
“অন্যান্য জন্তু জানোয়ার কবরের এটিভিটি টের পেয়ে থাকে যা মানুষ কিংবা জীন টের পায় না”
তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে
কারেন্ট রিয়ালিটির এই ৬০ ৭০ বছরের কেরিয়ার শেষ
আমরা যখন নতুন রিয়ালিটি শোতে এন্ট্রি মারতে যাবো
আমাদের কি কোনো ইন্টারভিউ ফেস করতে হবে?
হা হবে
আমরা জানি যে
আমাদের তিনটা প্রশ্ন ফেইস করতে হবে
তবে ভেবে হয়রান হই যে
আরে আমিতো আরবি পারি না
তাহলে প্রশ্ন গুলো বুঝবো কি করে?
আসলে, আমাদের এই রিসনিং গুলো আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের মতোই লিমিটেড
আমরা আমাদের এই লিমিটেড লেন্স দিয়েই বিষয়টাকে ভিসুয়ালাইস করার চেষ্টা করছি
অথচ ভুলে যাচ্ছি যে
সেই রেলমে এই ইন্দ্রিয়গুলোর স্পেকট্রাম বেড়ে যাবে
অর্থাৎ আমাদের কমিউনিকেশন স্কিলও বেড়ে যাবে
তখন আমরা যে ভাষা বাসিরই হই না কেন
প্রশ্ন ঠিকই বুঝবো এবং
যদি লাকি হই
উত্তরও ঠিকই দিতে পারবো ইনশাল্লাহ!
এই জায়গার বিষয়ে হজরত উমর রাঃ রাসূলকে প্রশ্ন করেছিলেন
ফেরেস্তারা যখন প্রশ্ন করবে
আমরা কি তখন সজ্ঞানে থাকবো?
উত্তরে রাসূল বলেছিলেন
তেমনি ভাবে সজ্ঞানে থাকব যেমনটি এখন আছ
ইন শর্ট,
কবরের লাইফস্টাইল ইস রিয়াল এন্ড ইটস কামিং
তো মূল প্রশ্নে ফিরে আসি
এই প্যারালেল ইউনিভার্সের সাথে
সূরা মূলকের কি সম্পর্ক?
মুলক কেন বেশি বেশি পড়তে হবে?
পড়তে হবে কারণ
হাদিস শরীফে এসেছে প্রশ্ন তিনটি হবে না,
হবে ৪ টি!
আর চতুর্থ প্রশ্নে আছে সেই উত্তর!
প্রথম তিনটা প্রশ্ন আমরা সবাই জানি
তোমার রব কে?
তোমার দীন কি? এবং
এই মানুষটি কে চিনো?
চতুর্থ প্রশ্নটি হলো তাদের জন্য এপ্লিকেবল
যারা প্রথম তিনটে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে
প্রশ্নটি হলো
“আরে! উত্তর গুলো তুমি জানলে কি করে?”
উত্তরে আমরা বলবো
“কোরান থেকে”!
আমরা তা পড়েছিলাম এবং
সেটির উপর বিশ্বাস এনেছিলাম
[সুনান আবি দাউদ ৪৭৫৩]
অর্থাৎ প্রতি রাতে কুরআন পড়লে
উত্তর গুলো আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে
এটা একটা দিক
আরেকটা দিক হলো
এ সূরার কন্টেন্ট
সূরার শুরুটাই হয়েছে মৃত্যু নামক সেই পোর্টালের কথা দিয়ে
“যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন
যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন যে
আমালের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে সর্বোত্তম”
[সূরা মূলক ৬৭:২]
আবার কিছুদূর গিয়েই আসে গায়েবের কথা
“নিশ্চয় গায়েবে তাদের রবকে ভয় করে
তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার”
[সূরা মূলক ৬৭:১২]
অর্থাৎ আমাদের শুরুর যে দুটো কন্সপেটের কথা বলেছিলাম
সেই দুটোই এ সূরা কভার করে
পরিশেষে এই সূরাতে সফলতার একটা মন্ত্রও দেয়া আছে
যেটা আওড়ালে সাইকোলজিকালী আমরা এই ইউনিভার্সে এবং সেই পেরালেল ইউনিভার্সে একটা বিশাল বুস্ট পাবো
মন্ত্রটি হলো:
‘তিনিই দয়াময়
তাঁর উপরই ঈমান এনেছি এবং
তাঁর উপরই ভরসা রাখি”
[সূরা মূলক ৬৭:২৯]
এ ছাড়া হাদিস শরীফে তো এসেছেই যে
সূরা মূলক আমাদের জন্য একটা প্রটেকটিভ শিল্ড এবং আমাদের সাথী হয়ে কাজ করবে
কিভাবে করবে আমরা জানি না
সেই ডিফারেন্ট রিয়ালিটিতে তিনি কিভাবে
একটা সুরাকে একটা অবজেক্ট বানিয়ে আমাদের সাথী বানাবেন এবং
সেই সাথী করে আমাদের উকালতি করবে
সেই নো হাও আমাদের জানা নেই
হতে পারে যে
হায়ার ডিমেনশনে সবকিছুই অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কনসেপ্ট ফলো করে
এই জন্যই তো এসেছে
মৃত্যুকেও একটা সময় অবজেক্ট বানিয়ে কোরবানি দেয়া হবে
এগেইন!
কিভাবে দেয়া হবে?
আমরা জানি না
আমরা সেটা হয়তো ইমাজিনও করতে পারবো না
কাৰণ পারবো কি করে?
ঠিক যেমন একটা কাগজে আঁকা টুঁ ডাইমেনশনের কেরেক্টর
থ্র্রি ডাইমেনশনে কেরেক্টর বুঝতে পারে না
ঠিক তেমনি
আমরা যারা থ্র্রি ডাইমেনশনে আছি তারা
হায়ার ডাইমেনশনের ফিজিক্স বুঝবো কি করে?
তবে এতটুকু অন্তত বুঝতে পারি যে
প্রতি রাতে এই সূরা কনসিউম করলে
যে যে বিষয়ে আমাদের ওয়ার্নিং করা হয়েছে
সেই সেই বিষয় গুলো থেকে কনসাসলি দূরে থাকতে পারবো!
যা ইন এ ওয়ে এনাদার
আমাদের কে প্রটেক্টে করে রাখবে!
Share: