মনের বিষ টাকে ঝেড়ে ফেলুন

স্টিফেন কভে তার যুগান্তরী বই সেভেন হ্যাবিটে একটা ইন্টারেষ্টিং গল্প শেয়ার করেন
বলেন,
একদিন তিনি তার কাজিনের সাথে হেটে যাচ্ছিলেন
তখন একটি বিষাক্ত সাপ তার কাসিনকে বাইট করে
কাসিন সাথে সাথে বিষ বের করার প্রক্রিয়া শুরু করেন
তিনি জানতে চান
তুমি সাপটাকে না ধরে বিষ বের করা স্টার্ট করছো কেন?
সাপটা তো ভেগে যাচ্ছে!
কাসিন উত্তর দেন
হম, সাপ ধরতে ধরতে সময় অপচয় করি আর বিষ হার্টে চলে যাক! নাকি?
এই গল্পের জের ধরে তিনি জানান
আমরা সবাই দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক বিষধর সাপের আসে পাশে থাকি যারা ছোবল মেরে চলে যায়
বুদ্দ্বিমানের কাজ হলো তার পিছনে না ছুটে বিষ টাকে ঝেড়ে ফেলা
আবার জানান
আমরা নিজেরাই অন্যের বিষয়ে অনেক সময় বিষ পোষণ করে রাখি
যা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচন্ড প্রতিবন্ধ সৃষ্টি করে!
এই পয়সন কেরি করাটা যে শুধুই ফিজিক্যাল বা রিলেশনাল গ্রাউন্ডেই ক্ষতিকর তা কিন্তু নয়
এর একটা মারাত্মক স্পিরিচুয়াল ইমপ্লিকেশনও আছে
বলা হয়
মধ্য সাবানের রাত্রিতে আল্লাহ তার সৃষ্টির উপর এক স্পেশাল দৃষ্টি বর্ষণ করে থাকনে
এবং তার সমস্ত সৃষ্টির সবাইকে মাফ করতে থাকেন শুধু মাত্র দুই কেটাগরির মানুষ ছাড়া
১. মুশরিক, যে কিনা তাঁর সাথে অন্য সত্তাকে শরিক করে
আর
২. মুশাহিন, সেই বেক্তি যে অন্যের জন্য অন্তরে বিদ্বেষ বা বিষ পুষে রাখে
আজ মধ্য সাবানের সেই রাত, খেয়াল রাখবেন আপনি যেন এই দুই ক্যাটাগরিতে না পরেন
নামাজ কালাম পড়ার আগেই তাই উপদেশ
নিজের মনের একটা ইনভেন্টরি করেন
কার কার বিষয়ে বিদ্বেষ পুষে রেখেছেন,
আইডেন্টিফাই করেন,
নীরবে বিষ ঝেড়ে দেন!
কারণ আজ আপনার একটা বিগার গোল আছে
ক্ষমা পাওয়া!
নোট:
আজ রাত নিয়ে আমাদের এক দলের আছে বাড়াবাড়ি
আরেক দলের আছে ছাড়াছাড়ি
আপনাকে মধ্যম পন্থী হতে হবে
তাই বলি
যারা রাত ভোর জেগে হালুয়া রুটি খেয়ে ইবাদতের প্লেন করছেন,
জেনে রাখেন
এই রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ সন্ধ্যার পর পরেই ইবাদত শুরু করতেন
অর্থাৎ
আপনার ইশার নামাজ মিস করে
রাত ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত নফল পরে
আবার ফজর মিস করে ঘুমিয়ে যাওয়াটা
সঠিক ইবাদত নয়!
জাস্ট মাগরিবের পর দু রাকাত এক্সট্রা ইস্তেগফারের নামাজ পরে নিন
একটু চোখের কোনটি ভিজানোর চেষ্টা করুন
আর ঈশা আর ফজর টা জামাতে পড়ার ট্রাই করুন,
বাস, সারা রাতের ইবাদতের রিওয়ার্ড কিন্তু সিকিউরড
কিপ ইট সিম্পল ব্যাট এফেক্টিভ!
Share: