“ক্ষমতা দেয়ার পর তিনি দেখবেন, এবার তোমরা কীভাবে বিহেভ করছো”?
কুরআন কোনো ইতিহাসের বই না
সেখানে আপনি ডে ইন ডে আউট কেলেন্ডার মাফিক একটার পর একটা ঘটনা পাবেন না
খন্ড খন্ড ইন্সিডেন্ট পাবেন
সেই সব ইন্সিডেন্ট সমূহ যেগুলো টাইমলেস
যেগুলো থেকে আমরা আজ অবধি শিক্ষা নিতে পারি
সো নেক্সট টাইম যখন এমন ঘন্ড ঘন্ড ইন্সিডেন্স পাবেন
প্রশ্ন করবেন যে
আল্লাহ এখানে এই কেস স্টাডিতে আমাদের কি শিখাতে চাইছেন
আজ এমনি একটা কেস স্টাডি নিয়ে কথা বলব
কেস স্টাডির ব্যাপ্তি সূরা আরাফের ১২৩ থেকে ১২৯ আয়াত
ঘটনা:
হজরত মুসা যখন ফিরাউন কে এসে চেলেঞ্জ করলেন
তখন পুরো দরবারে একটা ডিস্টার্বেন্স ক্রিয়েট হলো
ফিরাউনের খোদা দাবির বিষয়ে ইন্টারনালওপিনিয়ন শিফট হওয়া স্টার্ট করলো
তার এডভাইজাররা তখন তাকে একটা মিডিয়া কেম্পেইন রান করার এডভাইজ করলো
অবজেকটিভ হলো সবাইকে বুঝানো যে
মুসার কথা কানে দিও না
মুসাই হচ্ছে মেইন থ্রেট!
মুসাই হচ্ছে মেইন টেরোরিস্ট!
সেই ইভেন্টে মুসাকে ইনভাইট করা হলো এবং
সর্ব সাধারণকেও ফোর্স করা হলো সেই ইভেন্টে আসার জন্য
সর্ব সাধারণকে আনার উদ্দেশ্য ছিল
দেখানো, যে জনতা এই সরকারই চায়
আর তাদের হিরো হলো মেজিশিয়ানরা
কিছুক্ষণ বাদেই এই মেগা ইভেন্টে দৃশ্যপাত চেঞ্জ
মুসা আ র সর্প মেজিসিয়ানদের ফেইক দড়িগুলো গিলে ফেললো
শুধু তাই না মেজিশিয়ানরা সবার সামনে মুসলিমও হয়ে গেলো!
ফিরাউনের রিএকশন ছিল দেখার মতো!
হিউমিলেট করতে এসে নিজেই হিউমিলিটেড!
ফিরাউনের বিলিয়ন ডলার কম্পাইন পানিতে গেলো
তারই এপয়েন্টেড ইনফ্লুয়েন্সাররা এখন তারই বিরুদ্ধে!
হাজার হাজার জনতা সব বুঝে গেলো
তখন সে মেজিসিয়ানদের কেরেক্টারের দিকে আঙ্গুল তুললো
বললো:
“তোরা মিথ্যাবাদী”
“তোরা আমার বিরুদ্ধে কন্সপিরেসি করেছিস!”
“তোরাই তো আসল এনেমি অফ দা স্টেট্”
সে তাদের হাত পা কেটে শহরে ঝুলিয়ে রাখার হুংকার দিলো
উত্তরে ইনফ্লুয়েন্সাররা বললো
“ওই ডোন্ট কেয়ার”
ফিরাউন এখন কনফিউসড
মুসাকে ছেড়ে দিবে নাকি সবার সামনে হত্যা করবে
কারণ পাবলিক ওপিনিয়ন অলরেডী শিফ্টেড
ঠিক এ সময় তার হাই অফিসিয়ালস তাকে পরামর্শ দিলো
ওদেরকে এভাবেই ছেড়ে দেয়া যাবে না
তারা সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী
একটা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে তারা আবার প্রব্লেম ক্রিয়েট করবে
আজকে আপনি কিছু না স্টেপ নিলে আপনাকে নরম দেখাবে
আপনাকে স্ট্রং রেসপন্স দেখাতেই হবে
নাহলে আপনার প্রেসিডেন্সি নড়ে যাবে
ফিরাউন তখন ঘোষণা দিলো
“আমি তাদের ছেলেদের এক এক করে হত্যা করবো!”
এই হাত পা কেটে ঝুলিয়ে রাখা কিংবা ছেলেদের হত্যা করা ছিল একটা সাইকোলজিকাল মুভ
যারা আস্তে আস্তে তার পাওয়ার নিয়ে মুখ খুলছিল তারা ভয়ে আবার চুপসে গেলো
ফ্রিডম অফ স্পিচের গলা দাবানো স্ট্র্যাটেজি শুধু এই জমানায় দেখা যায় না,
স্ট্র্যাটেজিটা অনেক পুরানো
যাই হোক,
থ্রেট খেয়ে বণী ইসরাইল পরলো মহা বিপদে
মুসা আ এমন অবস্থায় তাদের তিনটা কথা বলে আশস্ত করলেন
১. আল্লাহর কাছে হেল্প চাইতে থাকো
২. সবর করতে থাকো
৩. দুনিয়া আল্লাহর, তিনি যাকে চান, যখন চান দিতে পারেন, শেষের হাসি একমাত্র তাকওয়াশীলরাই পাবে
এই ডায়ালগ শুনে
যারা ঈমানদার তাদের তো ঈমান বলিষ্ঠ
তবে বাকিরা ক্রিটিসাইজ করা স্টার্ট করলো
তারা উনার ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললো
আমাদের ঈমানী লেকচার দরকার নাই আমাদের সত্যিকার সলিউশন দরকার
আপনি আসার আগেও প্রব্লেমে ছিলাম
আর এখন আসার পরেও
আপনার ধর্ম পালন করে কি লাভ!
আমরা এতদিন ওপেন এয়ার প্রিসনে ছিলাম, এখনো আছি
বরং পরিস্থিতিতো মনে হয় এখন আরো খারাপ হলো
মুসা আ এই ক্রিটিসিমের ধারে কাছেও গেলেন না
তিনি তখন আরো তিনটি পয়েন্ট বলে আশস্ত করলেন
পয়েন্ট গুলো ডিপ, একটু খেয়াল করেন
প্রথমে বললেন
“হতে পারে খুব শীঘ্রই আল্লাহ তোমাদের এনিমিকে ডিস্ট্রয় করবেন”
খেয়াল করুন, ফিরাউনদেড় রাজত্ব ছিল হাজার বছর
আল্লাহ কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেটা বরবাদ করেছিলেন
তারপর তিনি বললেন
“তাকে ডিস্ট্রয় করার পর দুনিয়ার দখল তোমাদের দেয়া হবে”
আর লাস্টলি তিনি একটা ওয়ার্নিং দিলেন
“ক্ষমতা দেওয়ার পর তখন তিনি দেখবেন, তোমরা কীভাবে সেটা হেন্ডেল করছো”
সূরা আরাফের এই কেস স্টাডিটা কি করে যেন বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খাপে খাপে মিলে যায়
বণী ইসরাইল আজ ক্ষমতায় আর সেই ক্ষমতা পেয়ে তারা ক্রিয়েট করেছে বিশ্বের সব থেকে বড় ওপেন এয়ার প্রিসন!
খেয়াল করে দেখুন
ফিরাউনের বডি সাহাবা কিংবা ইসলামের স্বর্ণ যুগে আবিষ্কার হয় নি
হয়েছিল ১৮০০ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে যখন জায়োনিস্ট মুভমেন্ট স্টার্ট হয়
এ যেন বনি ইসরাইলকে মনে করিয়ে দেয়া
“ক্ষমতা দেওয়ার পর তিনি দেখবেন, তোমরা কিভাবে সেটা হেন্ডেল করছো”
সারা বিশ্ব যখন হতাশ হয়ে ভাবছে এই হত্যা যজ্ঞের শেষ কোথায়
আমি ভাবছি বিজয় অতি সন্নিকটে
কারণ কোরানের আয়াত ভুল হতে পারে না
“হতে পারে খুব শীঘ্রই আল্লাহ তোমাদের এনিমিকে ডিস্ট্রয় করবে”
আমাদের কাছে যেটা অসম্ভব, আল্লাহর কাছে সেটা কিছুই না
কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তিনি দৃশ্য চেঞ্জ করে দিতে পারেন
এটা খালি সময়ের ব্যাপার
মুসলিমদের বিজয় হবেই
পৃথিবীর ক্ষমতা আবারো আমাদের হাতে আসবেই
তবে যখন আসবে
তখন আমরাও যেন ভুলে না যাই
“ক্ষমতা দেয়ার পর তিনি দেখবেন, এবার তোমরা কীভাবে বিহেভ করছো”?
Leave a Comment